December 22, 2024, 3:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১ নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রায় দেন জেলা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো জেলার দৌলতপুর উপজেলার হায়দার চরের সজীব হোসেন (২২), পিতা মোঃ আলমগীর হোসেন ও একই উপজেলার তাজপুর গ্রামের সীমা খাতুন (৩৮), স্বামী- মোঃ আফাজ উদ্দীন। প্রত্যেককেই ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসিকিউশন সুত্রে জানা যায় একই গ্রামের নাহারুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী দৌলতপুর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, তার ছেলে মোঃ রনি ইসলাম ঐ দিন সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ টার সময় নিজ বড়ি হতে সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাইরে যেয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তিনি সহ তার আত্মীয়-স্বজন অনুসন্ধান করতে থাকেন। ঘটনার প্রায় একমাস পর ১ ফেব্রæয়ারী দৌলতপুর উপজেলার ৬নং চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর পদ্মা নদীর চরের ভিতর বালুচরে আধা পোতা অবস্থায় রনির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২ ফ্রেব্্রুয়ারী কারোর নাম না উল্রেখে হত্যা মামলা দায়ের হয়। তবে এজাহারকারীর হত্যাকারী সম্বন্ধে সন্দেহের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহদারা খান নিজেই মামলাটির তদন্ত বার নেন এবং ১৫ জানুয়ারী ২০১৯ সালে পেনাল কোডের ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগে জানা যায় আসামী সীমা খাতুনের স্বামী প্রবাসে থাকেন। সেই সুযোগে এজাহারকারীর ছেলে রনি ইসলামের সাথে সীমার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সেটি শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এসকল বিষয় রনি ফোনে ধারণ করে সীমা খাতুনকে ব্লাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং টাকা হাতিয়ে নেয়। আসামী সজীব একদিন রনিকে সীমা খাতুনের ঘর থেকে বের হতে দেখে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে রনির সাথে সীমার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। সীমা রনির উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সজীবকে বলে তাকে উদয়নগর পদ্মা নদীর চরে নিয়ে গিয়ে আসামী সজীব সীমা খাতুনের দেয়া চার্জার লাইট দ্বারা অন্ডকোষে আঘাত করে এবং অন্য হাত দিয়ে গলা টিপে ধরে এবং পরবর্তীতে তার গলায় থাকা চাদর দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে রনি ইসলামকে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীর চরে পুতে রাখে।
Leave a Reply